নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মোবাইলে কার্টুন দেখানোর কথা বলে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই আপন ফুফার বিরুদ্ধে। পরে শিশুটির মা বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে পাঠায় কালিহাতী থানা পুলিশ। এদিকে ওই শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিশুটির নিজ বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতার ওই ব্যক্তি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি সোহাগপুর এলাকার সন্তোষ (৬০)। সে দীর্ঘদিন যাবত বৈবাহিক সূত্রে কালিহাতীর লুহুরিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছে। সম্পর্কে সে শিশুটির আপন ফুফা।
শিশুটির মা জানান, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আমি রান্না করছিলাম। এ সময় সন্তোষ বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে মোবাইলে কার্টুন দেখানোর লোভ দেখায়। পরে মেয়েকে কোলে বসিয়ে কার্টুন দেখাতে থাকে। আমি রান্না করছিলাম। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ মেয়ে চিৎকার করে উঠে। এ সময় আমি দৌঁড়ে সেখানে গেলে সন্তোষ আমাকে বলে কার্টুন দেখতে না দেয়ায় চিৎকার করেছে। তখন আমি আবারো রান্না করতে চলে যাই। এর কিছুক্ষণ পর আবার চিৎকার করলে আমি এসে সন্তোষকে চলে যেতে বললে সন্তোষ চলে যায়। রাতে খাওয়া শেষ করে শোয়ার সময় মেয়ের শারিরীক কিছুটা পরিবর্তন ও যৌনাঙ্গে হাত দিয়ে থাকতে দেখি। জিজ্ঞাস করলে সে কিছু বলতে চায় না। পরে আমার সন্দেহ হলে আমি দেখি মেয়ের যৌনাঙ্গে রক্ত লেগে আছে। তখনি আমি বের হয়ে গিয়ে কিছু লোককে জানাই এবং সন্তোষকে খুুঁজে বের করে জিজ্ঞাস করি। কিন্তু স্বীকার করে না। এ সময় সন্তোষের স্ত্রী (শিশুটির ফুফু) কে জানালে সে ওষুধের দোকান থেকে ব্যথার ওষুধ কিনে খাওয়াতে বলে। তখন ওষুধ কিনতে দোকানে গেলে দোকানদার পুলিশ ও হাসপাতালে যেতে বলে। পরে তখনি হাসপাতালে চলে যাই। পরের দিন মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কালিহাতী থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে সন্তোষকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত সন্তোষের কঠিন শাস্তি চান শিশুটির মা। যাতে এরকম জঘন্য কাজ কেউ করতে সাহস না পায়।
অপরদিকে একাধিক এলাকাবাসী বলছে, সন্তোষের চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে। এ রকম করে বেশকয়েকটি বিয়েও করেছেন সে। এই ঘটনা জানার পর রাতেই কিছু স্থানীয় লোক তাকে খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েছিলো। পরে সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে গাছের সাথে বেধে রেখে মারধরও করা হয়। সন্তোষের কঠিন বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, শিশুটির মা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরই বিকেলে অভিযুক্ত সন্তোষকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।