নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার রাত ১০টার দিকে তিনি টাঙ্গাইল শহরস্থ করের বেতকায় তানজিমের বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা দেন। ঘণ্টাখানেক সময় তিনি সেখানে অবস্থান করেন।
এ সময় তানজিমের বাবা সারোয়ার জাহান, মা শাহনাজ খান ও বোন তাসনুভা ছারোয়ার সূচিসহ তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে নিয়ে তানজিমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন আমিরে জামায়াত।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তানজিমের মেধা ও সাহসীকতার প্রশংসা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সবার সৌভাগ্য হয় না দেশের জন্য জীবন দেয়ার। আল্লাহ তার মা-বাবাকে এমন একটি সন্তান দিয়ে ধন্য করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা মনে করি, আমাদের জাতীয় দায়িত্ব তাদের প্রতি সম্মান দেখানোর। সেই সম্মান দেখানোর জায়গা থেকেই আমরা এখানে এসেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দু’টি রোডম্যাপ চেয়েছি। একটা সংস্কারের জন্য এবং অপরটি হলো নির্বাচনী। কিন্তু প্রথম রোডম্যাপ যদি সফল না হয়, তাহলে দ্বিতীয়টাও ব্যর্থ হবে। আমরা কোনো ব্যর্থ নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি একটা সফল নির্বাচন।’
তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনার চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া কোনো ভালো জিনিস নয়। নিশ্চয়ই তিনি এখন উপলব্ধি করেছেন দেশের মানুষ তাকে ভালোভাসে না। তিনি চলে গিয়েছেন, জাতি মুক্ত হয়েছে। এখন জাতিকে শান্তিতে থাকতে দিন। তবে তিনি যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতি এখন খুবই মজবুত হাতে ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ গোটা যুবসমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যা করেছে। নৈতিক দিক থেকে তারা পরাজিত হয়েছেন। এখন তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে যে তারা রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখেন কি না।’
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো: রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হোসনী মোবারক বাবুল ও শফিকুল ইসলাম খানসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।