নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হকের উপর হামলার মামলায় রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পশুপতি বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যান মুক্তি। হাজিরা দিয়ে বের হলে আদালত প্রাঙ্গনে তাকে আটক করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হকের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) রিমান্ড আবেদনে শুনানির দিন ধার্য্য করেন। তবে নুরুল হকের ওপর হামলার দিন মুক্তি আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আদেশের পর সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ জানান, ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর নূরুল হকসহ তার দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় তার ওপর হামলা করা হয়। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদী হয়ে ১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘সাবেক মেয়র মুক্তির নাম এজাহারে ছিল না। মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ কী কারণে গ্রেপ্তার করেছে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আইনত তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান মুক্তি গত ২২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন লাভ করেন। পরে তিনি ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মামলার ধার্য তারিখে তিনি অ্যাম্বুলেন্সযোগে আদালতে আসেন। হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আদালত চত্বরের বাইরে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।