নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিউটি পার্লারের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের কারণে মধুপুর প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আসমা খাতুন নামে এক নারী।
আর এ বিষয়ে মধুপুর থানাতেও একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা ব্যক্তির নামেও লিখত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অসমা খাতুন মধুপুরের ডিজিটাল ওমেন্স বিউটি পার্লারের মালিক। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ সড়কের আনোয়ার হোসেনের ভবনে। সংবাদ সম্মেলনে এই নারী উদ্যোক্তা তার পার্লারের সুনাম নষ্ট ও সেবা গ্রহীতাদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনে এসময় তিনি চাঁদা দাবিসহ তাকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তার পার্লারের সাবেক কর্মী সুবর্ণ সাংমা ও প্রিন্স এডওয়ার্ড নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
৪ এপ্রিল শুক্রবার সকালে মধুপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বিউটি পার্লারের মালিক উপজেলার সিংগারবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আসমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১২ বছর যাবৎ তিনি সুনামের সাথে বিউটি পার্লার পরিচালনা করে আসছেন। গত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের সুবর্ণা সাংমা নামের একটি বিউটি পার্লার কর্মী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ করার চুক্তিতে বিশ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন পর সে কাজ ছেড়ে চলে যান। টাকা ফেরৎ না দেয়ায় ফন্দি হিসাবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সেবা গ্রহীতাদের বিভ্রান্তকরার অভিযোগ তুলেন। টাকা চাইলে এসময় তাকে ও তার স্বামীকে চতুরতার মাধ্যমে ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন তিনি।
এব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রিন্স এডওয়ার্ড চাঁদাদাবীসহ অভিযুক্ত এসব বিষয় অস্বীকার করেন এবং সুবর্ণা সাংমাকে ফোনে জিজ্ঞেস করলে ২০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন মাসে মাসে পরিশোধ করে দিয়েছি। অন্য বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল কবির বলেন, লিখিত অভিযোগটি এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।