নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবেশী গৃহবধুকে মারধর করা সেই চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কারাগারে প্রেরণ করা সরকার নুরে আলম মুক্তা উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর-নাগরপুর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তা। পরে ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নওরীন করিম জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ বলেন, সখীপুরের বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গৃহবধুকে মারধরের মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন না মঞ্জুুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওর্য়াডে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাও। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হয় ওই নারী। ভিডিও তে দেখা যায় ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যায়। এসময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেলের (৩৫) এসে ওই নারীর সাথে বাগবির্তক শুরু করে। এরপর রুবেল প্রথমে মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন।