নিজস্ব প্রতিনিধিৎ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রখর রোদে কৃষকরা ফসলের মাঠে কাজ করতে পারছে না এবং ভ্যাপসা গরমে বয়স্ক ও শিশুরা চরম বিপাকে আছে।
এছাড়া ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভীড় করছেন।
তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। তাদের বেশির ভাগ রোগী জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত।
প্রতিদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ৫৪ বছরের রেফাজ জানান, পাঁচ দিন ধরে ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা ও জ্বর নিয়ে ভুগছি। ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাইছি কোনো কাজ হয়নি। তাই হাসপাতালে বড় ডাক্তার দেখাতে আসছি।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রখর গরমে আমার এই সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: রোকনুজ্জামান খান মিডিয়া কর্মীদের বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহ থাকায় স্বাভাবিক রোগীর চেয়ে বেশি রোগী আসছে হাসপাতালে। এছাড়া তাপমাত্রা বেশি থাকায় গড়ে প্রতিদিন আউট ডোরে ৫০-৬০ জন্য রোগী বেশি আসছে এবং প্রতিদিন ১৫-২০ জন রোগী বেশী ভর্তি হচ্ছে। জ্বর ঠান্ডা কাশী রোগী বেশি এবং শিশুদের পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে।
তিনি আরো জানান, প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে পাতলা ও হালকা সুতি পোশাক পরা, বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা এবং ছাতা ব্যবহার করতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি, খাবার স্যালাইন পান করা প্রয়োজন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দিন মুজুরীদের একটানা বেশি সময় কাজ না করা। গরম থেকে এসে গোসল না করা এবং ঠান্ডা পানি না খাওয়া। এছাড়াও হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স ও চিকিৎসক আছে। তাপদাহ কারণে যেকোনো সমস্যা হোক না কেন আমাদের এখানে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব এবং আমরা চিকিৎসা দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ জানান, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।