মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

টাংগাইলে ব্রিজ ভেঙে হেলে পড়ার ঘটনায় মেয়রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল পৌরএলাকার বেড়াডোমা লৌহজং নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ ভেঙে হেলে পড়ার ঘটনায় মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে টাঙ্গাইল দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি দমন কমশিন (দুদক) টাঙ্গাইলের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে মামলাটি দ্রুত এজারভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলায় আসামিরা হচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিক্সস অ্যান্ড ব্রিজেজ লি. অ্যান্ড দি নির্মাতা (জেভি) সত্ত্বাধিকারী মোস্তফা মোহাম্মদ মাসুদ, প্রকল্প পরিচালক একেএম রশীদ আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশরী শিব্বির আহম্মেদ আজমী, সহকারী প্রকৌমরী রাজীব কুমার গুহ, উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম জিন্নাতুল হক।

টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমা লৌহজং নদীর ওপর এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ সেতুটির কাজ বাস্তবায়ন করে টাঙ্গাইল পৌরসভা। ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৮ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি সেতুটি ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর নির্মান কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১১ মে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছর ১৬ জুন রাতে পানির স্রোতে নির্মাণাধীন সেতুর পশ্চিমপাশের বাঁশ ও কাঠের খুঁটিগুলো সরে গিয়ে নির্মাণাধীন সেতুর একাংশ দেবে যায়। ধারণা করা হয় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দেবে গেছে। পরবর্তীতে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে।

অবশেষে অভিযুক্ত মেয়রসহ ৬ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হবার আগেই সেতুটি দেবে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলাচলকারী এলাকাবাসী।

তারা বলেন, প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির বন্ধুবান্ধব এ সেতুর কথিত ঠিকাদার। এরা ঢাকার মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছে। তাদের বাধ্য করে এ সেতুর কাজ বাগিয়ে নিয়েছে। যার ফলে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে এ সেতু নির্মাণে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, এবিষয়ে এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights