নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাকুটিয়া জামে মসজিদে রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত জড়িত কাউকেই সনাক্ত করা যায়নি। এতে এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মসুলমানদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপর দিকে পুলিশি তদন্তে অবহেলার কারনে প্রকৃত দোষীরা এখনো অধরা রয়েছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী পাকুটিয়া জামে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বাদজুমা পাকুটিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি ও এলাকার তৌহীদি জনতা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মসজিদ সংলগ্ন পাকুটিয়া কালামপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ মানবন্ধনটি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত ও ন্যাককারজনক ঘৃনীত অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খানের সভাপতিত্বে ও কাজী আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. শামীম খান, মুফতি হারুন অর রশিদ, জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মো. কহিনুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম খান, প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির, মো. মোনায়েম খান, মো. রুহুল আমিন খান, মো. মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন তদন্তে ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বলেন, মসজিদের সিসি টিভি ফুটেজ পরিক্ষা করে কিছু পাওয়া যায়নি। প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত চলমান আছে। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া জামে মসজিদটি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। এতে মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।