নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাসা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিষ দিয়ে ৮ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
স্থানীয় জানায়, উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবাসা গ্রামের মৎসচাষি পাভল ভূইয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর প্রবাসে থেকে তেমন একটা সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে স্থানীয়ভাবে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন।
সেই সুবাদে প্রায় দুই বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন পাভেল। মৎস্য খামারটি বাবা-ছেলে মিলে দেখাশুনা করেন এবং এই মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসতেছিলেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাছের খাবার দিয়ে মৎস্য খামার থেকে বাড়ি চলে আসেন।কিন্তু পরদিন সকালে পুকুর পাড়ে গিয়ে তার মাছগুলো মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান । তার প্রজেক্টের পুকুরে কার্প, গ্লাস কার্প, সরপুঁটি, কাতল, রুই, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, পাঙ্গাস ও শিংসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮০ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন মৎসচাষি পাভেল ভূইয়া।
পাভেল ভূইয়া বলেন, প্রতিবেশী প্রবাসী ও মৃত আব্দুল বাছেদ মিয়ার ছেলে আজমত আলীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাতে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান করেন। তার নির্দেশ ছোট ভাই আজগর আলী মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় মাছের ওই পুকুরে বিষ জাতীয় কিছু প্রয়োগ করে। বুধবার সকালে পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠা দেখে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ক্ষতি করেছে আমার। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করতেছিলাম।। তারা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো। আমি ঘাটাইল থানায় লিখিত আজগর ও আজমতকে অভিযুক্ত করে ঘাটাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম জানান, মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সঙ্গে শত্রুতা করে এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। এলাকাবাসীর খবর পেয়ে সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে আছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার আওতাধীন ধলাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন খান বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।