নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তারা পদত্যাগ করেন।
ভিসি ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুছা মিয়া, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট ড. মোসা. নার্গিছ আক্তার ও শিক্ষার্থী কল্যাণ পরামর্শ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. ফয়জুন নাহার মিম।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে এদিন ভিসিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ব্যক্তিগত গাড়িতে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-ভিসি অধ্যাপক ড. এ আর এম সুলাইমান জানান, ‘ভিসি স্যার মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগ করেছেন শুনলাম।’ ভিসি’র অবর্তমানে ক্যাম্পাস কীভাবে চলবে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘এটা সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন।’
প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে ড. মুসা মিয়া বলেন, সংকটকালীন সময়ে ভিসি স্যারের অনুরোধে আমি প্রক্টর হয়েছি। যেহেতু তিনি পদত্যাগ করেছেন তাই আমিও রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছি। আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন ভিসির পদ থেকে তার পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন তাই তিনি তাদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা গত সেমিস্টারগুলো খুব দ্রুত শেষ করেছেন। ভিসির অবর্তমানে তারা সেশনজটের সম্মুখীন হবেন কিনা এ দ্বিধায় রয়েছেন। দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পর নতুন ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত তাদের একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।