মধুপুরের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র

সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

First Online Newspaper in Madhupur

মির্জাপুরে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর পাশে বিএনপি

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী অন্ধ হিমেলকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আবুুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী শিক্ষার্থী হিমেলের বাড়িতে গিয়ে হিমেলের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গত (৪ আগস্ট) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় শিক্ষার্থী হিমেল। এ সময় হাইওয়ে থানা পুলিশের ছররা গুলিতে রক্তাক্ত হয়।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবাল, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আব্দুর রউফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ শাহআলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম শফিকুল ইসলাম ফরিদ, টাঙ্গাইল জেলার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমীন, আল আমীন সিয়াম, আব্দুল আলীম, শেখ ফরাশ ও রাকিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত (৪ আগস্ট) হতে (২০ আগস্ট) পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে এবং গত (২০ আগস্ট) থেকে (২৮ আগস্ট) পর্যন্ত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউ হাসপাতালে শিক্ষার্থী হিমেলের চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায়ও আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমন্বয়করা হাসপাতালে হিমেলকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তবে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি বলে তার মা ও ভাই জানিয়েছেন।

হিমেল মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামে আফাজ উদ্দিনের ছেলে। বাবা তার মাকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে। মা হাওয়া নাছিমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে। দুই ভাইয়ের মধ্যে হিমেল ছোট।

শিক্ষার্থী হিমেল জানায়, আন্দোলনে অংশ নেয়া চার সহপাঠিকে হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার সময় হাইওয়ে থানায় আক্রমন করি। পরে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়ে। এতে আমার চোখ মুখ ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হই। হিমেল দুই বছর আগে উপজেলার গোড়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। পরে সে স্থানীয় একটি সাউন্ড সিস্টেমের দোকানে কাজ শুরু করে। গত (৪ আগস্ট) বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হিমেলও অংশ নেয়। তারা গোড়াই হাইওয়ে থানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করলে পুলিশ টিয়ার সেল ও ছররা গুলি ছুড়ে। এতে হিমেলসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

হিমেলের মা নাসিমা আক্তার জানান, হিমেল সুস্থ হলেও চোখ দুটি অন্ধ হয়ে গেছে। আমার ছেলে আর কোনদিন পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে না। টাকা অভাবে ছেলের ভালো চিকিৎসাও করাতে পারছি না। ডাক্তার বলেছে ওই চোখে মুখে বুলেট আছে। ঢামেক ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউ হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বুধবার বাড়িতে এসেছি। হিমেলের বড় ভাই জনি মিয়া জানান, পুলিশের ছররা গুলিতে আমার ভাইয়ের দুই চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ৫টি দাঁত পড়ে গেছে। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে গুলি বের করা হলেও আরো গুলি রয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছে। গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার উত্তরা স্পিনিং মিল কারখানায় চাকরি করি। মাসিক আট হাজার টাকা বেতন পাই। এই স্বল্প আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলে। ধার দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছি। আমার ভাইয়ের উন্নত চিকিসার ব্যবস্থা করানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি করছি।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

The Trend (Online Shop)

©2024 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
Verified by MonsterInsights