নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। চাষিরা জানান, এখন পর্যন্ত পাটের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে পাটের হারানো রাজত্ব ফিরিয়ে আনতে শতভাগ পলিথিনের বস্তা পরিহারের পাশাপাশি দেশের সকল পাটকল চালু ও বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলায় ১৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেটা বেড়ে ১৯ হাজার ৬৫০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবার প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, চাষিরা জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ পাট শোলা আঁটি বেঁধে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার পাট ভাঁজ করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। বেশিরভাগ জমির পাট কাটা শেষ হয়ে গেছে। জেলায় এ বছর দেশি, তোষা, কেনাফ, রবি-১ ও ভারতীয় বঙ্গবীর জাতের পাট বেশি আবাদ হয়েছে।
পাট চাষি শাহাদত হোসেন বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট রোপণ করেছিলাম। সেগুলো চার হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরের ধাপে যেগুলো লাগিয়েছিলাম সেগুলো সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখনও কিছু পাট কাটা বাকি আছে। সেগুলো কেমন দাম পাব জানি না। তবে এ বছর পাটের ফলন ও দামে আমরা খুশি।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, পাট অধিদপ্তর থেকে চলতি বছর জেলার ১২টি উপজেলায় ৩৬ হাজার কৃষককে এক কেজি পাট বীজ ও ১২ কেজি করে সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৯০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষে ঝুঁকেছেন। কৃষককে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।