নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মো. আবছার উদ্দিন মোগল। বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই। বিয়ে করেছেন ৫/৬টি। ঘাটাইলের সংগ্রামপুরের ছনখোলা গ্রামের এই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শুধু একাধিক বিয়ে নয়, স্ত্রী, সন্তান, পরিবার ও প্রতিবেশীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে একজন স্ত্রীও তার সংসারে নেই। সারা দিন জুয়া, মাদকের নেশায় মত্ত হয়ে থাকেন এমন অভিযোগ তার সন্তান হুমায়ুনের। তিনি জানান, আমার পিতা একজন নিষ্ঠুর ও পাষাণ হৃদয়ের মানুষ। বাবার নেশা শুধু বিয়ে করা আর জুয়া খেলা। আমরা আগের ঘরের চার ভাইবোনসহ পরের ঘর মিলে ৬ ভাইবোন। আমিই একমাত্র পুত্র সন্তান আমার বাবার। বাবা কোনোদিন আমাদের খোঁজখবর নেয়নি। আমার বোনেরা গার্মেন্টে চাকরি করে, মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে আমাকে মানুষ করেছেন। বাবার কৃতকর্মের জন্য আমার মা তাকে ফেলে রেখে তালাক দিয়ে চলে যায়। আমরা তখন অনেক ছোট। বাবা পুনরায় বিয়ে করলে সৎ মায়ের অনেক অত্যাচার সহ্য করে আমরা বড় হয়েছি। সুখ কি জিনিস আমরা আজও জানি না। এত দুঃখ কষ্ট নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে থাকলেও মনে কখনোই শান্তি পাই না।
বর্তমান সমাজে সন্তান পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ করে না। অথচ আমার বাবার সমস্ত ভরণ-পোষণ, ছোট বোনের বিয়ে দেয়াসহ সংসারের যাবতীয় খরচ আমি বহন করি। বাবার জন্য লোক সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। ছোট আরও দুটি বোন কিভাবে বিয়ে দেবো বুঝতে পারছি না। এই বয়সে এসে বাবা আবার বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। বাবাকে বিয়ে করাই না বলে শনিবার সকালে আমাদের থাকার একমাত্র বসতঘরটি কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। আমরা এখন কোথায় থাকবো, কোথায় যাবো বলতে পারছি না। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হুমায়ুন । একই অভিযোগ করেন হুমায়ুনের বড় বোন হেলেনাও। এ ব্যাপারে সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাবু বলেন, লোকটা বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছে। তাছাড়াও তার বেশকিছু খারাপ অভ্যাসও আছে। আমি নিজেও তার বিয়ের ছাড়াছাড়ি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি দরবার করেছি। অনেক সমস্যা লোকটির মধ্যে। তাছাড়া তার স্ত্রী, পুত্র পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করে। লোকটার সঠিক বিচার হওয়া দরকার।